মনিরামপুর(যশোর)প্রতিনিধি।। যশোরের মনিরামপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে কেশবপুরের হারুন অর রশিদ নামে এক পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী বাদি হয়ে শনিবার মনিরামপুর থানায় হারুনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
পরে পুলিশ হারুনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করে। মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই সৈয়দ আজাদ জানান, কেশবপুর উপজেলার খতিয়াখালী গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে পল্লী চিকিৎসক হারুন অর রশিদ কয়েকমাস আগে বিয়ে করার জন্য ঘটকের সাথে পাত্রী দেখতে আসেন মনিরামপুরের শ্যামকুড় ইউনিয়নের বাঙ্গালীপুর গ্রামে নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে।
পাত্রী দেখে হারুনের পছন্দ হয়। কিন্তু বিয়ের দিন নির্ধারন না করে ওই পাত্রীর সাথে হারুন মোবাইল ফোনে প্রায়ই কথাবার্তা বলেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়। সেই সূত্র ধরে হারুন ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে বেড়ানোর কথা বলে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে।
ওই ছাত্রী জানায়, বিয়ের কথা বললে হারুন আজ না কাল বলে সময় ক্ষেপন করে। এক পর্যায়ে তাকে ব্লাকমেইল করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। এরই মধ্যে সুচতুর হারুন তার প্রেমিকা মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিয়ে না করে গতমাসে অন্যত্র বিয়ে করে। আর এখবর জানতে পেরে ওই ছাত্রী গত বৃহস্পতিবার কেশবপুরের খতিয়াখালী গ্রামে হারুনের এক আত্বিয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
পরে খবর পেয়ে হারুন সেখানে আসলে ওই ছাত্রী তাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এক পর্যায়ে হারুন শুক্রবার ভোররাতে ওই ছাত্রীকে সাথে নিয়ে বাঙ্গালীপুর গ্রামে তার পিতার বাড়িতে আসে। এ সময় ওই ছাত্রী তার অভিভাবকদের জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হারুন তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ফলে অভিভাবকরা হারুনকে আটকিয়ে থানায় খবর দেয়।
পরে পুলিশ শনিবার বেলা ১২ টার দিকে সেখানে থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ওসি(তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান জানান, ধর্ষনের ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদি হয়ে হারুনের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরে পুলিশ তাকে আদালতে চালান দেয়। আদালত হারুনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।